আজকাল ওয়েবডেস্ক: বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতদের অন্যতম রীতেশ চন্দ্রকর নিহত মুকেশের তুতো ভাই বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় এক সাংবাদমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন মুকেশ চন্দ্রকর। বস্তারে ১২০ কোটি টাকার রাস্তা প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েবার খবর করেছিলেন সাংবাদিক মুকেশ। রাস্তা তৈরির দরপত্রে ৫০ কোটি উল্লেখ থাকলেও কীভাবে তা বেড়ে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প হল সেই তথ্যই প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। দুর্নীতিতে নাম উঠে আসে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের। ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রীতেশ চন্দ্রকর সুরেশের ওই প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রীতেশ চন্দ্রকর, সুরেশের সঙ্গে ১লা জানুয়ারি রাতে মুকেশের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন। বৈঠকের পরে, মুকেশের ফোন বন্ধল হয়ে যায়। তাঁর বড় ভাই ইউকেশ চন্দ্রকর বাই মুকেশকে নিখোঁজ বলে জানায়। এর পরই নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে।
মুকেশের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করে ঠিকাদার সুরেশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গত শুক্রবার মুকেশের দেহ উদ্ধার করা হয়। যে জায়গা থেকে সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ঠিকাদারের কর্মীরা থাকেন। সেই সব কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
